রহমত ডেস্ক 14 May, 2022 06:17 PM
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশ স্বৈরাচারী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। দেশে এখন কঠিন ক্রান্তিকাল চলছে। এই দেশের জনগণ তারেক রহমান ও বিএনপির দিকে তাকিয়ে আছে। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমানের নেতৃত্বে এই দেশের গণতন্ত্র আবার ফিরে আসবে। এই সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। একইসঙ্গে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন করতে হবে। এজন্য দরকার দুর্বার আন্দোলন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মন্তব্যই প্রমাণ করে আওয়ামী লীগ লুটেরা দুর্নীতিবাজের দল। আজ তাদের দুর্নীতির সীমা এতটাই বেড়ে গেছে যে, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মতো একটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র স্থগিতাদেশ দিতে বাধ্য হয়েছে।
শনিবার (১৪ মে) দুপুরে দিনাজপুর শহরের ইনস্টিটিউট মাঠ প্রাঙ্গণে জেলা বিএনপির কাউন্সিলে তিনি এসব কথা বলেন। জানা গেছে, জেলা বিএনপির কাউন্সিলে সাতটি পদের বিপরীতে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জেলার ১৩টি উপজেলার ২০টি ইউনিটের ১ হাজার ৯১৯ জন কাউন্সিলর ও ডেলিগেট গোপন ব্যালটের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
দিনাজপুর জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক রেজিনা ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী রিয়াজুল ইসলাম রিজু, রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এ জেড এম রেজওয়ানুল হক, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আখতারুজ্জামান মিয়া, বীর মুক্তিযোদ্ধা মকছেদ আলী মঙ্গলিয়া, সম্মেলন ও কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।
মির্জা ফখরুল বলেন,আজ দেশে একটা কঠিন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করতে হচ্ছে। ১৯৭১ সালে একটি সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তির দেশের জন্য আমরা যুদ্ধ করেছিলাম। কিন্তু আজ আওয়ামী লীগের কার্যক্রমে আমরা হতাশ হয়ে পড়ছি। তারা স্বাধীনতার পক্ষের কথা বললেও বাস্তবে স্বাধীনতাবিরোধীর কাজ করছে। আওয়ামী লীগ বর্তমানে বাংলাদেশকে স্বৈরাচারী রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। এখন টেলিভিশন, পত্রিকাসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম দেখলে শুধু হত্যা, ধর্ষণ, রাহাজানির খবর ছাড়া কিছুই দেখা যায় না। খালেদা জিয়া ও তার পরিবার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন বলে বিদেশে প্রচার হচ্ছে। আওয়ামী লীগ সরকার আজকে প্রশাসনকে ধ্বংস করে দিয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে দলীয়করণ করেছে এই সরকার। দিনাজপুর সংগ্রামের জনপদ, এই অঞ্চলের মানুষ সংগ্রাম করতে জানে। তাই এই জেলায় প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের পদচারণা ছিল। এমনকী তিনি নিজের জীবন সঙ্গিনী হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন দিনাজপুরের কন্যা খালেদা জিয়াকে। কিন্তু তিনি আজ মিথ্যা মামলায় গৃহবন্দি হয়ে আছেন।